প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে ফাঁস নিলেন জাবি ছাত্রী
প্রকাশিত : ১২:৫৭, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১৬:৩৩, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হল থেকে তাকিয়া তাসনিম নামে এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গেছে, মনোমালিন্যের জেরে প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখেই গলায় ফাঁস নেন ওই শিক্ষার্থী।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলের ৮ম তলার ৭০০৫ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
আশুলিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত তাকিয়া তাসনিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৫৩ ব্যাচের (২০২৩-২৪) শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি মাগুরা সদর উপজেলার পারান্দুয়ালী এলাকার ব্যবসায়ী আরিফ হোসেনের মেয়ে।
জানা গেছে, হলের ৭০০৫ নম্বর কক্ষটিতে একাই ছিলেন তাকিয়া। প্রেমিকের সাথে মনোমালিন্যের জেরে তাকে ভিডিও কলে রেখেই তিনি গলায় ফাঁস নেন। তখন ওই প্রেমিক নিহত ছাত্রীর বান্ধবীদের ফোন করে বিষয়টি জানান।
পরে দরজা ভেঙে কক্ষের ভেতরে প্রবেশ করে তাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তৎক্ষণাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসককে হলে আনা হলে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর সকাল পৌনে দশটার দিকে আশুলিয়া থানা পুলিশ এসে মরদেহটি নিয়ে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। পরে আশুলিয়া থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে মরদেহটি নিয়ে যান।
বিষয়টি তাকিয়ার বাবাকে ফোন করে জানানো হয়েছে। তার বাবা-মা মাগুরা থেকে রওনা হয়েছেন।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, নিহত শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে মরদেহটি সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে৷ তার পরিবারের সাথে কথা বলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, তাকিয়া বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলের হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হলেও নিয়মিত সেখানে থাকতেন না। তিনি সাভারে তার মামার বাসায় থাকতেন। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) তিনি হলে আসেন বলে জানিয়েছেন পাশের কক্ষের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঝগড়ার জেরে প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস নিয়েছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের (৪৮তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী কাজী সামিতা আশকা। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলায়।
এএইচ
আরও পড়ুন